১. টিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্তমানে শিশুরাও প্রচুর সময় ব্যয় করে। তবে এ সময় যেন দৈনিক এক ঘণ্টার বেশি না হয় সেজন্য শিক্ষা দিন।
২. প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি পাঠ্যবই বহির্ভূত বই পড়তে দিন এবং এক পাতা সারাংশ লেখা অভ্যাস করান।
৩. সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য শারীরিক অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট
দৌড়াদৌড়ি বা এ ধরনের খেলাধুলা করতে দিন।
৪. শিশুর আদর্শ ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে সে সম্পর্কে লিখতে দিন।
৫. শিশুকে প্রতি সপ্তাহের, মাসের, বাৎসরিক ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করা ও নিয়মিত তার অগ্রগতি
পর্যালোচনা করা শেখান। এটি তাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য তাড়া করতে শেখাবে।
৬. তাকে জনহিতকর কাজ করতে শেখান।
৭. শিশুকে সঞ্চয় করতে শেখান।
৮. যে কোনো দরকারে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকার বিষয়টি শিশুকে শেখানো খুবই প্রয়োজনীয়। ভবিষ্যতে সে
যেন
কোনো বিপদে পড়লে তাদের সহায়তা নেয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন। এছাড়া অন্য কারো বিপদে যেন সে
পাশে
দাঁড়ায় তাও শেখাতে হবে।
৯. যে কোনো বিষয়ে কারো কাছে উপকৃত হলে ধন্যবাদ দেওয়া শেখান। এছাড়া অন্যান্য ভদ্রতাও শেখাতে হবে।
১০. শিশুর ভুল হতেই পারে। আর সে ভুলগুলোতে সে যেন হতাশ না হয় সেজন্য তাকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিতে হবে।
ভুল
মেনে নেওয়ার পাশাপাশি এক ভুল যেন বারবার না হয় সেজন্যও তাকে সতর্ক হওয়ার শিক্ষা দিন।
১১. রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এ বিষয়টি ছোটবেলা তেকেই তাকে শেখাতে হবে। এজন্য বাবা-
মায়েরও রাগ প্রকাশে সংযত হতে হবে। কারণ বাবা-মায়ের থেকে সে এ ধরনের অনেক বিষয় শেখে।
১২. আর্থিক বিষয়গুলো শিশুকে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দিন। আর্থিকভাবে সফল হওয়ার উপায়গুলো তাকে জানিয়ে
রাখুন। কিভাবে আর্থিক ব্যবস্থা কাজ করে তা শিশুকে শিক্ষা দিন।
১৩. শিশুর সঙ্গে মুখোমুখি আলাপে নানা বিষয় নিয়ে আসুন। এক্ষেত্রে ফোন বা অন্য কোনো মাধ্যম খুব একটা
কার্যকর নয়।
১৪. সময় ব্যবহারের বিষয়টি শিশুকে শিক্ষা দিন। দৈনিক কাজের তালিকা তাকেই তৈরি করতে দিন। এটি তাকে
মেনে
চলার উপায় জানান|
১৫.বিভিন্ন শিক্ষামূলক স্থান পরিদর্শন করান এবং তাদের সামনে সমাজের বড় মানুষদের অবদান এবং
জীবনী তুলে ধরুন
এবং দেশের প্রতি ,মানুষের প্রতি সম্মান এবং ভালবাসা গড়ে তুলুন।
১৬.শিশুদের সামনে কোনো নেগেটিভ বিষয় তুলে না ধরা এবং নেগেটিভ বিষয়টিকে পজিটিভ হিসেবে
তার সামনে
উপস্থাপন করা।
১৭.শিশূর সামনে জ্ঞাণী,বড় মাপের মানুষদের জীবনী তুলে ধরুন।
১৮.প্রতিদিনে জীবন যাপন ও বিদ্যালয়ে সহপাঠীদের কাজকর্ম নিয়ে ডায়েরী লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
-মো: খায়রুল আলম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন