মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
শিশুর জীবনে সফলতার জন্য ১৮ শিক্ষা দিন: -মো: খায়রুল আলম
সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
শিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রী : -মো: খায়রুল আলম
করোনা মহামারি চলাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষাথীগণ পড়াশুনা থেকে বিরত ।এমতাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিছুটা হোম পরীক্ষার ব্যবস্থা করলেও অনেকে এটা ব্যবসা বলে উপহাস করেন।একজন শিক্ষাথীকে তো কৃষক বা অন্যকিছু বলা হয় না। তাই আমরা ভূলে যাই শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য।এ বিষয়ে আমার কিছু ধারণা উপস্থাপন করলাম।
শিক্ষার্থী বলতে বুঝায় যারা শিখে তারাই শিক্ষার্থী । প্রকৃতির বিশাল বিদ্যালয়ে আমরা সবাই শিক্ষার্থী। দৈনন্দিন জীবন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখছি। কিন্তু শিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রী বলতে বুঝি যারা শিক্ষার ক্যারিকুলাম,বিষয়বস্তু নিয়মতান্ত্রিকভাবে অধ্যয়ন করে তাদেরকে শিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রী বলে।
* ছাত্র-ছাত্রীর বৈশিস্ট্য :
-সত্যবাদী
-নিয়মানুবর্তী
- অধ্যবসায়ী
- শৃঙ্খল
- যতœশীল
- পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন
- দায়িত্বশীল
*ছাত্র-ছাত্রীর পড়ার ধরণ:
১) কিছুটা উচ্চস্বরে
২) মনোযোগ সহকারে
৩) একনিষ্ঠভাবে/এদিক -ওদিক না তাকিয়ে
৪) রিডিং পড়বে
৫) বানান করবে
৬) অর্থ পড়বে
৭) লিখবে (পাঠ ঠোঁটস্থ বা মুখস্ত নয়,পাঠ আত্ত¡স্থ করতে হবে।)
* ছাত্র-ছাত্রী ভালো ফলাফল করতে হলে থাকতে হবে:
১) পড়াশুনার নিয়ম/ পড়াশুনার রুটিন
২) পড়াশুনার উপাদান
৩) পড়াশুনার পরিবেশ
* ভালো ছাত্র-ছাত্রী হওয়ার উপায়:
১) বাসায় রুটিন অনুযায়ী পড়াশুনা করা।
২) নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া ।
৩) ক্লাসে মনোযোগী হওয়া ।
৪) প্রতিদিনের বাড়ির কাজ নিজে সুন্দরভাবে প্রতিদিন করা।
৫) শিক্ষকের আলোচনা মনোয়োগ সহকারে শোনা এবং নোটস করা।
৬) সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং স্বাস্থ্যের প্রতি যতœশীল হওয়া ।
৭) সপ্তাহে যে কোনো একদিন গল্প,উপন্যাস এবং চিত্র অঙ্কন করার অভ্যাস করা।
৮) নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করা
৯) পাঠ না বুঝলে শিক্ষককে ভদ্রতার সহিত প্রশ্ন করা।
* বিদ্যালয় শেষে শিক্ষার্থীর বাড়িতে করণীয়:
১) স্কুলথেকে বাড়ি ফেরার পর ইউনিফর্ম খুলে হাতমুখ ধৌত করে সামান্য বিশ্রাম নেয়া এবং হালকা খাবার খেয়ে টেবিলে
বসে বাড়ির কাজ সম্পন্ন করা।
২) একটি নির্দিষ্ট সময় টিভি দেখা,গল্প,উপন্যাস পড়া , পত্রিকা পড়া , চিত্র অঙ্কন করা এবং খেলাধূলা করা। যেহেতু
খেলাধূলার মাঠ নেই বা অনিশ্চিত পরিবেশ সেহেতু স্কিপিং রৌপ, হাত-পা নড়াচাড়ার কৌশল অবলম্বন করা ভালো।
৩) পাঠ্যবই ভালোভাবে রিডিং পড়া,বানান করা,অর্থ বুঝা, কোন কিছু না বুঝলে বিষয়টি নোট করা এবং টিউটর/
শিক্ষকের নিকট উপস্থাপন করা।
৪) বাসায় টিউটর থাকলে অবশ্যই টিউটরের পাঠ স্কুলের পাঠ থেকে এগিয়ে থাকবে ।
৫) টিউটর না থাকাই ভালো কারণ টিউটর থাকলে শিক্ষার্থী আত্মœ নির্ভরশীল হতে পারে না। তবে গণিত ও ইংরেজির
বিষয়টি বিবেচনা যোগ্য।
* ছাত্র-ছাত্রীকে অবশ্যই সুস্থ থাকতে হলে পালনীয়:
১) ছাত্র-ছাত্রী সবচেয়ে ১ম পালণীয় ও করণীয় বিষয় হলো সুস্থ থাকা।
২) নিয়মিত ২ বার দাঁত ব্রাশ করা।(সকালে নাশতার পরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে)
৩) সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কমপক্ষে ১-২ গøাস পানি পান করা ।
৪) খাওয়ার আগে ও পরে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধৌত করা।
৫) পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি , ফলমূল,শাক-সবজি খাওয়া।
৬) নিয়ম মেনে ফলমূল খাওয়া।
৭) নিয়মিত গোসল করা এবং সবসময় পরিস্কার পোশাক পরিধান করা।
৮) পড়ার টেবিল,বই পত্র এবং বিছানা সবসময় পরিপাটি এবং পরিচ্ছন্ন রাখা।
৯) চকলেট,চিপস,চুইংগাম সহ ফার্স্টফুড জাতীয় খাবার এবং কোমল পানীয় যতদূর সম্ভব পরিহার করা।কারণ এগুলো
দাঁত ও ত্বকের ক্ষতি করে,দেহকে মোটা করে এবং বুদ্ধিবৃত্তি কমিয়ে দেয়। বাসি,পচা এবং বাহিরের খোলা খাবার
খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
১০) প্রতিদিন অত্যন্ত এক Glass লেবুর শরবত পান করা।
১১) ছোটবেলা থেকেই বয়স ভিত্তিক শরীর চর্চার প্রতি গুরুত প্রদান।
ধন্যবাদ